বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ
এই শিখন অভিজ্ঞতায় আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আলোচনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের বিষয়টি তুলে ধরব। আমরা পাঠ্যপুস্তকে প্রদত্ত তথ্য এবং এলাকার মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানেন এমন কোনো বয়স্ক ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করব। প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এরপর আমরা ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অবস্থান থেকে আমাদের করণীয় কী কী তা নির্ধারণ করব। সবশেষে আমরা ছাব্বিশে মার্চের দিন 'বঙ্গবন্ধু মেলা'র আয়োজন করে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের ঘটনার উপর কেস স্টাডি তৈরি করে উপস্থাপন করব।
দলগত কাজ ১
আমরা ৫ থেকে ৬ জনের দল গঠন করি। এরপর আমরা দলে বসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ নিয়ে আলোচনা করে একটি প্রবন্ধ/কবিতা/ছবি/দেয়ালিকা তৈরি করব।
|
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ
|
আমরা ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। এই শিখন অভিজ্ঞতায় আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নতুন কিছু তথ্য জানতে পারব। আমরা জানব বঙ্গবন্ধু কীভাবে তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ এবং স্বাধীনতার চেতনা সমগ্র বাঙালির মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে জানব জীবনের পরতে পরতে বঙ্গবন্ধু যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা উপস্থাপন করে আমরা সব সময় ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেব। চলো, তাহলে আমাদের এই মহান নেতা ও দেশপ্রেমীককে নিয়ে আমরা কিছু তথ্য জেনে নিই।
বঙ্গবন্ধু' ও 'বিশ্ববন্ধু'। চারটি শব্দই আমাদের সকলের কাছে পরম ভালোবাসার। একটা মজার বিষয় লক্ষ করে দেখতে পারো যে চারটি শব্দ বলা হয়েছে, তার প্রতিটি 'ব' অক্ষর দিয়ে শুরু। আজকের আলাপে প্রসঙ্গক্রমে 'ব' দিয়ে শুরু আরো একটি শব্দ আমাদের ব্যবহার করতে হবে- 'বঙ্গীয় ব-দ্বীপ'। এই শব্দগুলোর মধ্যেকার ঐতিহাসিক সংযোগ ও সম্পর্ক খুঁজে দেখার মাধ্যমে 'বঙ্গ' থেকে 'বাংলাদেশ' এবং 'বঙ্গবন্ধু' থেকে 'বিশ্ববন্ধু'তে রূপান্তরের ইতিহাস আমরা অনুসন্ধান করে দেখব। অনুসন্ধানের কাজ করতে গিয়ে বাংলা অঞ্চলে হাজার বছরে গড়ে ওঠা মানবতাবাদী চেতনার কিছু উদাহরণ খুঁজে বের করা হবে এবং সেই চেতনার ধারক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও মানুষের মুক্তির জন্য তাঁর লড়ায়ের দৃষ্টান্তমূলক কিছু উদাহরণ অনুধাবনের চেষ্টা করা হবে। বাংলার আঞ্চলিক সীমানার বাইরেও বিশ্বের সকল নিপীড়িত-নিষ্পেষিত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু। তাই তো ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্বশান্তি পরিষদ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে সম্মানজনক 'জোলিও কুরি' পদক প্রদান করা হয় এবং তাঁকে ভূষিত করা হয় 'বিশ্ববন্ধু' অভিধায়। শেখ মুজিবুর রহমানের 'ব্যক্তিত্ব' এবং তাঁর 'বঙ্গবন্ধু' ও 'বিশ্ববন্ধু' উপাধির সঙ্গে আমাদের 'বঙ্গ' ভূখণ্ডের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের রয়েছে গভীর যোগসূত্র বা সংযোগ। বাংলা অঞ্চলের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এবং মাটি-কাদা-পানি আর সবুজের ঘেরা ভূ-প্রকৃতি থেকে প্রয়োজনমতো উদাহরণ নিয়ে আমাদের আলাপ ও অনুসন্ধান এগিয়ে যাবে।
বাংলা অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ ও কয়েকটি প্রশ্ন
একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অভ্যুদয়ের ইতিহাস এবং সেই ইতিহাসের চূড়ান্ত পর্যায়ে একজন ব্যক্তির ভূমিকা বিশ্লেষণ করার আলাপে ভৌগোলিক বিষয়াবলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ সাধারণত প্রাকৃতিক সীমানাবিধৃত কোনো একটি সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক অংশে বা অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে বসতি স্থাপনকারী একদল মানুষ ইতিহাসের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বহু বিচিত্র চ্যালেঞ্জ বা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে অর্জিত সামষ্টিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ধীরে ধীরে সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি রচনা করে থাকে। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব গঠনেও ভূগোলের প্রভাব অনস্বীকার্য। তাই বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের ইতিহাস অনুসন্ধানের শুরুতেই একটি ভূখণ্ড নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সেই ভূখণ্ডের ভৌগোলিক প্রতিকূলতা ও বৈশিষ্ট্যগুলো জানা প্রয়োজন। প্রয়োজন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার যোগ্যতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা। আঞ্চলিক ভূখণ্ডটির ভৌগোলিক সম্ভাবনাগুলোকেও খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
ভারতবর্ষের পূর্বাংশের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমন্ডিত প্রাকৃতিক সীমানাবেষ্টিত একটি আঞ্চলিক ভূখণ্ড বাংলা। এই অঞ্চলেরই দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পৃথিবীর বৃহত্তর ব-দ্বীপ অবস্থিত। গঙ্গা নদীর দুটি প্রবাহের নাম ভাগীরথী ও পদ্মা। ভাগীরথী বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মা বাংলাদেশের মধ্যে। গঙ্গার এই দুটি প্রবাহপথের অন্তর্বর্তী ভূ-ভাগ বঙ্গীয় ব-দ্বীপ নামে সারা পৃথিবীতে পরিচিত। এই ব-দ্বীপসহ গোটা বাংলা অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় ও বিচিত্র সব জলাশয়।
মানচিত্র: আঞ্চলিক বাংলা ও বাংলাদেশ (১৩০০ সাল বা সাধারণ অব্দ পর্যন্ত)
যাই হোক, একদিকে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা এবং অন্যদিকে ক্ষমতাবান অত্যাচারী শাসকের নানান প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে এই বাংলা অঞ্চলের সাধারণ মানুষেরা প্রায় দুই হাজার বছর কাটিয়েছে, ভূখন্ডটির কোনো একক রাজনৈতিক পরিচয় তখন ছিল না। ছিল না সুনির্দিষ্ট কোনো সীমানা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য নাম-পরিচয় গড়ে তোলা হয়েছিল। সেগুলোরও কোনো সীমানা খুঁজে পাওয়া যায় না। নানান মানুষের বহুমাত্রিক কর্মকান্ড, নানান ঘটনা-দুর্ঘটনা, দ্বন্দ্ব-সংঘাত আর সমন্বয়ের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলা অঞ্চলের মানুষেরা সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনীতি সচেতন হতে থাকে। হাজার বছরের দীর্ঘ পথপরিক্রমা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম বাংলার কাদামাটি আর পানির ভৌগোলিক প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ওঠে এসে সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করেছেন। সফল হয়েছেন। বাংলা অঞ্চলের পূর্বাংশের সুনির্দিষ্ট একটি ভূখন্ডে ১৯৭১ সালে 'বাংলাদেশ' নামে স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করেছেন। ভাষা-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং সকল নিপীড়িত ও নিষ্পেষিত মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই চালিয়ে যাবার কারণে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুকে 'বিশ্ববন্ধু' অভিধায় অভিহিত করা হয়েছে।
বঙ্গ, বাংলা, বাংলাদেশ- স্থান ও নামের বিবর্তন
বর্তমান আলাপে 'বাংলাদেশ' বলতে ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র, 'বঙ্গ' বলতে প্রাচীন বাংলার ভৌগোলিক-ঐতিহাসিক ইউনিট বা জনপদ এবং 'বাংলা' বা 'বেঙ্গল' বলতে একটি ভৌগোলিক একক বা "অঞ্চল' বা 'ভৌগোলিক সত্তা'কে আমরা বিবেচনায় নিতে পারি। 'বাংলা' নাম-পরিচয় মূলত ১৯৪৭-পূর্ব সময়, পরিস্থিতি এবং স্থানিক পরিচিতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই ভৌগোলিক-ঐতিহাসিক পরিচিতির আওতাভুক্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা প্রদেশ এবং ঝাড়খন্ড, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম, ও মেঘালয় প্রদেশগুলোর অংশবিশেষ। মনে রাখা প্রয়োজন, বাংলার এই আঞ্চলিক ভূখণ্ডেই বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ ঘটেছে। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত এই ভূখণ্ডে জাতি ও রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়া বহুবিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। স্থানিক এবং কালিক প্রেক্ষাপটে যেমন সীমানাগত হেরফের ঘটেছে, ঠিক তেমনই রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন সময়ে এই ভূখন্ড এবং ভূখণ্ডের মানুষের ভিন্ন ভিন্ন 'পরিচিতি' গড়ে উঠেছে।
আলোচ্য বাংলা ভূখন্ডটি ভূ-প্রাকৃতিক গঠনগত প্রক্রিয়ায় তৈরি এবং এই গঠনে মানুষের কোনো হাত ছিল না। এর একদিকে সুউচ্চ পর্বত, দুই দিকে কঠিন শৈলভূমি, একদিকে বিস্তীর্ণ সমুদ্র এবং মাঝখানে সমভূমির সাম্য। দেখতে অনেকটা পিরিচের মতো ভূ-প্লেটটি দক্ষিণ দিকে কিছুটা ঢালু। ফলে তিন দিকের পাহাড় বেয়ে নেমে আসা জলরাশি সহজেই দক্ষিণের সমুদ্রে গিয়ে পতিত হয়। ভূ-গঠনপ্রক্রিয়া এ অঞ্চলে এনেছে বৈচিত্রা। তিন দিকে উঁচু পাহাড়ি লাল মাটির বন্ধনীর মধ্যে দক্ষিণে ঢালু ভূ-ভাগটির একটি বড় অংশ গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-
মেঘনার বিপুল জলরাশি দ্বারা বয়ে আসা পলি গঠিত প্লাবন সমভূমি, যেখানে পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ অবস্থিত। নীহাররঞ্জন রায়ের ভাষায়:
'এই প্রাকৃতিক সীমাবিধৃত ভূমি-খণ্ডের মধ্যেই প্রাচীন বাংলার গৌড়-বরেন্দ্র-রাঢ়-সুহ্ম-তাম্রলিপ্তি- সমতট-বঙ্গ-বঙ্গাল-হরিকেল প্রভৃতি জনপদ; ভাগীরথী-করতোয়া-ব্রহ্মপুত্র-পদ্মা-মেঘনা এবং আরও অসংখ্য নদ-নদী বিধৌত বাংলার গ্রাম, নগর-প্রান্তর, পাহাড়, কান্তার। এই ভূখণ্ডই ঐতিহাসিককালের বাঙালির কর্মকৃতির উৎস এবং ধর্ম-কর্ম-নর্মভূমি।'
ইতিহাসের অসম গতি ইতিহাসের অসম গতি মানে হলো নদী বা জঙ্গলের কারণে বিচ্ছিন্ন এলাকায় বা উপ-অঞ্চলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ভিন্নতা। বাংলা অঞ্চল বড়ো বড়ো নদীর কারণে অন্তত ৪টি উপ-অঞ্চলে বিভক্ত। এই উপ- অঞ্চলগুলোতে মানুষের সমাজ ও সংস্কৃতি গঠনের অভিজ্ঞতা আলাদা। কোনো একটি অংশে মানুষ নিড়ানি দিয়ে কৃষিকাজ করছে তো অপর কোনো অংশে মানুষ হয়তো তখনো কৃষিকাজই শেখেনি। কোনো একটি অংশে নগররাষ্ট্র গড়ে উঠেছে কিন্তু অন্য কোনো অংশে হয়তো তখনো চলছে কৌমভিত্তিক অর্থাৎ গোত্রভিত্তিক জীবন। এক অংশে মুদ্রার প্রচলন ঘটেছে কিন্তু অন্য অংশে হয়তো তখনো মানুষ মুদ্রা চোখেই দেখেনি। ইতিহাসের অসম গতি শিখতে গিয়ে তোমাদের নিশ্চয়ই এখন ধারণা হয়েছে যে, সরলীকরণ করে যখন যুগ বিভাজন করা হয় তখন তা ইতিহাস সম্পর্কে নানান ভ্রান্তি তৈরি করতে বাধ্য। বাংলার উপ-অঞ্চলগুলোতে বসতি স্থাপনকারী মানুষের জীবনের ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় না নিয়ে গোটা অঞ্চলটিকে এক করে দেখানো এবং একই যুগের অধীনে অঞ্চলটির সবখানে একই রকম অগ্রগতি ঘটেছে তা লেখা বা বর্ণনা করা ইতিহাসের ব্যত্যয় ছাড়া আর কিছুই নয়। |
পরিচয় গঠনের আদিপর্ব: বাংলা অঞ্চলে প্রাণ-প্রকৃতির বোঝাপড়া
হাজার বছর ধরে 'বঙ্গ' এবং 'বঙ্গাল' নাম-পরিচয়টি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীনকালে বাংলা অঞ্চলের খণ্ড খণ্ড অংশ শাসনকারী শাসকের অসংখ্য দলিলে এবং গ্রন্থে 'বঙ্গ' নামের উল্লেখ আছে। কিন্তু এর স্পষ্ট কোনো সীমানার উল্লেখ নেই। দক্ষিণ ভারতের চোল রাজাদের লিপিসহ আরো বেশ কয়েকটি উৎসে 'বঙ্গাল' নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নাম-পরিচয়ের পাশাপাশি এই দুটি নাম দীর্ঘদিন টিকে থেকেছে।
মানচিত্র: বাংলা অঞ্চল, ব্রিটিশ বাংলা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়